বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতে কুয়াশার অন্ধকারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরুচোর সিন্ডিকেট। তারা চুরির পর অভিনব কৌশলে একাধিক পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানে করে চোরাই গরুগুলো নিয়ে যায়। পৌরসভার বেলঘরিয়া এলাকায় গরু চুরির ঘটনার পর বিরতিহীন অভিযানে নেমেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আন্তঃবিভাগীয় গরুচোর চক্রের প্রধান শহিদুলসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের হেফাজতে থাকা দুটি গাভী ও দুটি বাছুর উদ্ধার করা হয়। চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, নাটোরের সিংড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নিংগইন এলাকার মৃত হাছেন আলীর ছেলে আন্তঃবিভাগীয় গরুচোর সিন্ডিকেটপ্রধান শহিদুল ইসলাম (৪৮), সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চরকুরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে কুখ্যাত চোর নুর মোহাম্মদ (৪০) এবং একই জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার জাংকীগাতি এলাকার মৃত ফজলার শেখের ছেলে ছামেদুল হক (৩৮)।
মঙ্গলবার দুপুরে চোরচক্রের তিন সদস্যকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কে বহিরাগতদের আনাগোনা কমলেও শীতের শুরুতেই মধ্যরাতে তৎপর গরু চোর সিন্ডিকেট। চুরি ঠেকাতে রাতে টহল জোরদারের পাশাপাশি বিরতিহীন অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের প্রধান শহিদুলকে বগুড়া সদর থানার কৈগাড়ী কবরস্থান এলাকা থেকে আটক করা হয়। সে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গরুচোরের একাধিক সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেয়। আটক তিনজনের দেওয়া তথ্যে সিরাজগঞ্জ সদর থানা এবং কামারখন্দ থানা এলাকা থেকে দুটি গাভী ও দুটি বাছুর উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কুখ্যাত গরুচোর মোতালেব হোসেন পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে নন্দীগ্রাম পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া এলাকার জহুরুল ইসলামের দুটি গরু চুরির ঘটনার তিন দিন পর গত সোমবার থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন এসআই জিয়াউর রহমান।
মন্তব্য করুন