পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতরাত থেকে পাল্লা দিয়ে ঠান্ডা বাড়ায় ফাঁকা হয়ে যায় হাটবাজার ও রাস্তাঘাট। শীতের প্রকোপতায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় চরম কষ্টে কাটাতে হচ্ছে তাদের।
অন্যদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত তিন দিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে পঞ্চগড়ের গরিব, দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। হাড় কাঁপানো শীতে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। রাতে বৃষ্টির মতো শিশির পড়েছে। দিনমজুর, শ্রমিক ও রিকশাচালক শীতবস্ত্রের অভাবে কাজে যেতে পারছেন না। শহরে লোকজনের উপস্থিতি ও রাস্তা-ঘাটে যানবাহন চলাচল কমে গেছে। শহরের ফুটপাতসহ লেপ-তোশক ও শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে।
ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরে হাওয়ায় মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো চলে কুয়াশাপাত। সেই সাথে উত্তরের হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। বাইরে বের হলেই সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট পরে বের হতে হচ্ছে। তারপরও মানছে না শীত।
ঘন কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের সন্ধানে। বেলা ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ কালবেলাকে আরো জানান, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, ঘন কুয়াশায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে না পারায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ জন্য সারা দিনই শীত অনুভূত হবে।
মন্তব্য করুন