সাপ্তাহিক ছুটি ও বিজয় দিবসের ছুটি উপলক্ষে পর্যটকের ঢল নেমেছে মেঘের রাজ্যখ্যাত সাজেক ভ্যালিতে। সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। মেঘ পাহাড়ের মিতালি আর পার্বত্য জনপদের সৌন্দর্য উপভোগে ছুটিকে উপলক্ষ করে এখন সবার গন্তব্য হয়ে উঠেছে সাজেক ভ্যালি।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এবং শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি ও বিজয় দিবসের ছুটি মিলিয়ে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক সাজেক গেছেন বলে জানা গেছে পর্যটনব্যবসায়ীদের সূত্রে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটক সাজেক যাওয়াতে দেখা দিয়েছে কক্ষ সংকট।
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, দুই দিনের ছুটিতে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সাজেক এসেছেন। তাই আমাদের কিছুটা কক্ষ সংকট রয়েছে। তবে যেসব পর্যটক অগ্রিম বুকিং না দিয়ে এসেছেন তারাই রুম পাননি। তবে যারা রুম পাননি তাদের জন্য আমরা আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে ক্লাব ঘরে এবং আশপাশের স্থানীয়দের বাসাবাড়িতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সমিতির আওতায় সাজেকে ১২০টির মতো রিসোর্ট কটেজ রয়েছে, যার পর্যটক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৫০০-১৮০০ জন। কিন্তু সাজেকে এখন প্রায় ৩ হাজারের মতো পর্যটক রয়েছে। পর্যটকদের এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। সাজেক জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা বলেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে এটা সত্যি, তবে কাউকেই রাস্তায় রাত কাটাতে হয়নি। কিছু পর্যটক গতকালই ফেরত গেছেন। গতকাল শুক্রবারের চেয়ে শনিবার পর্যটক সংখ্যা কিছুটা কম। গতকাল কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটকদের ক্লাবঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সাজেকে ২ হাজারের মতো পর্যটক আছে বলে জানান তিনি।
সাজেক জীপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ৩৪০টির মতো বড়গাড়ি, প্রায় ১০০টির মতো সিএনজি/মাহেন্দ্রা এবং প্রায় ১০০টির মতো বাইক সাজেকে প্রবেশ করেছে। এত সংখ্যক পর্যটক হওয়াতে সাজেকে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। যারাই রুম পাননি তাদের জন্য কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে ক্লাবঘর এবং স্থানীয়দের বাসাবাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনো পর্যটককে রাস্তায় রাত কাটাতে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শনিবার প্রায় ৫০টির মতো আমাদের বড়গাড়ি এবং ২০টির মতো বাইক সাজেক এসেছে। গতকালের বেশিরভাগ গাড়িই সকালের স্কটে ফেরত চলে গেছে।
মন্তব্য করুন