মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলের ওপর আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে কালকিনি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর হক ব্যাপারীকে প্রধান আসামি করে ৫৭ জনকে এজাহারভুক্ত ও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগমের ঈগল প্রতীকের পক্ষে লক্ষ্মীপুরে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি মিছিল বের করা হয়। এ সময় আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থকেরা পেছন থেকে ওই মিছিলের উপর কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে করে ওই মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ককটেলের আঘাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী লক্ষ্মীপুর ইউপি পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী, মালেক হাওলাদার, আকলিমা বেগমসহ ১০জন কর্মী আহত হয়। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে খবর পেয়ে খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এ হামলার জেরে লক্ষ্মীপুর ইউপি পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর ভাই মোফাজ্জেল কাজী বাদী হয়ে কালকিনি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী লক্ষ্মীপুর ইউপি পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, ঈগলের পক্ষ শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে আমাদের মিছিলের ওপর ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। আ.লীগ প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে ফজলু বেপারীর লোকজন। আমরা এ হামলার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফজলু বেপারী জানান, আমার লোকজন হামলা করেনি।
উপজেলা আ.লীগের সাধারণত সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলের উপর অতর্কিত ককটেল হামলার ঘটনায় থানায় আমাদের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। আমরা প্রধান হামলাকারী ফজলু বেপারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান কালবেলাকে জানান, এতে ৫৭ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার খলিলুর তালুকদারের ছেলে এবাদুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার জব্বার করিকরের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬)।
মন্তব্য করুন