হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শেখ হাসিনা যথাযথ সম্মান দিয়েছেন : মমতাজ

হরিরামপুরের মধ্য যাত্রাপুর গ্রামে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। ছবি : কালবেলা
হরিরামপুরের মধ্য যাত্রাপুর গ্রামে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। ছবি : কালবেলা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন এ দেশের গর্ব। এ দেশের অহংকার। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মধ্য যাত্রাপুর গ্রামে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব দেওয়া হয়েছিল অসহায় মুক্তিযোদ্ধা। নামেমাত্র তাদের অনুদান দেওয়া হতো। জননেত্রী শেখ হাসিনাই আমাদের সেই ’৭১-এর বাংলার সূর্যসন্তানদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেন। তিনি অসহায় শব্দটা বাদ দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাবে সম্মানিত করেন। আজ জাতির এই বীর সন্তানদের সম্মার্থে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে একতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং। আর তার নামকরণ করা হয়েছে বীর নিবাস। এটা কিন্তু একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনারই অবদান।

পদ্মা ভাঙন রোধ নিয়ে মনতাজ বেগম বলেন, আপনাদের যে প্রধান সমস্যা ছিল নদী ভাঙন। এই পদ্মা নদী ভাঙন রোধে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করা হয়। শুধু তাই নয়, এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্নাণে ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শেষ। অনেক জমির মালিক কিন্তু তার জন্য টাকাও পেয়ে গেছে। বর্তমানে স্থায়ী বাঁধের কাজটি প্রক্রিয়াধীন। খুব তাড়াতাড়িই এটার কাজ শুরু হয়ে যাবে।

মমতাজ বেগম আরও বলেন, আমার সময়ে কিন্তু বড় বড় রাস্তার কাজ যেগুলো ছিল, তা করা শেষ। এখন ছোটখাটো শাখা রাস্তা রয়েছে। যেগুলোর কাজ আগে করা হয়েছে, এখন হয়তো ভেঙে গেছে। এ জাতীয় রাস্তার কাজ ব্যতীত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজ কিন্তু খুব একটা বাকি নেই। নির্বাচনের পরে এ রাস্তাগুলোর কাজও হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।

আপনাদের ভালোবাসা আছে বলেই শেখ হাসিনা আমাকে আবারও নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের মাঝে পাঠিয়েছেন। তাই আর যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন, তারা যতই আওয়ামী লীগ দাবি করুক, নৌকা কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই দিয়েছেন। তাই আমি বলব, নৌকা হলো মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। নৌকা হলো শেখ হাসিনার প্রতীক। তাই আগামী ৭ তারিখে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন। কারণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে শেখ হাসিনার কোনোই বিকল্প নাই। আর তাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হলে অবশ্যই নৌকা প্রতীকেই ভোট দিতে হবে। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

জনসভায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বকাপের জন্য ২০ সদস্যের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

ন্যায় ও আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে হবে : বাবর

ফিল্মফেয়ারে রেকর্ড গড়ল ‘লাপাতা লেডিস’

কলকাতায় অমিতাভের জন্মদিনে চল্লিশা পাঠ

বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচে ঢাকা

বিএনপির ৩১ দফা দেশের মানুষকে বাঁচানোর রূপরেখা : রাশেদুল আহসান

আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্তপোস্ট দখল করেছে পাকিস্তান

দল কমলেও বিপিএলে বাড়ছে ভেন্যু

লন্ডনে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখে যা বললেন রোজিনা

হঠাৎ কেন আফগান সীমান্তে হামলা চালাল পাকিস্তান

১০

যুবদল নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

১১

ইসরায়েলকে উড়িয়ে দিল নরওয়ে

১২

কারিনার রাগ সামলানোর উপায় জানালেন সাইফ

১৩

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহছানুল হক

১৪

হলুদ রঙে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলেছে বন লবঙ্গ

১৫

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস আয়োজনে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

১৬

ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

১৭

গোল করে, করিয়ে দলকে জেতালেন মেসি

১৮

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১৯

বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতকারীদের জায়গা নেই : বিজিএমইএ সভাপতি 

২০
X