ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে হুমকির জেরে আলোচনায় আসা চট্টগ্রামে বাঁশখালি উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুলহ হক চৌধুরীকে ঘিরে যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার আসন্ন নির্বাচনকে নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে তিনি বাঁশখালীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি উতপ্ত করে তুলছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। নতুন করে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে এ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। এ অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল, পাহাড় দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৮ মে উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আগে ‘ইভিএম না হলে সব সিল আমি মেরে দিতাম, কাউকে খুঁজতাম না’ বক্তব্য দিয়ে তুমুল সমালোচিত হন মুজিবুল হক। তখন থেকে তিনি ‘টিপ মাারা মুজিব’ নামে পরিচিতি পান।
এরপর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২ জানুয়ারি বাঁশখালী উপজেলায় এক পথসভায় তিনি বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেব না।’ পরে বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুজিবকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরই মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে মুজিব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘পিটার হাসকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্প্রতি মুজিবুল হক চৌধুরী তার এক বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সমালোচনা করে বলেন, ‘পিটার হাস বলেছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বিক্রি করি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন।’ পরে তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মন্তব্য করুন