ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বুধবার ভোর ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিপ্রবাহ কিছুটা কমে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এসব তথ্য জানিয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি বাড়ায় জেলার পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে; ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
পানিবন্দি এলাকাগুলোর হলো—পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পার্শ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে আছে, এতে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এ ছাড়া বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেতও পানিতে তলিয়ে গেছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ‘আবারও পানি বেড়েছে। জেলার বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলেতে ৩০০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন