একসময়ে মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়ার পোড়াভিটা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাঝেমধ্যে কিছু মাদককারবারি ও সেবনকারী গ্রেপ্তার হলেও, অদৃশ্য কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে প্রকৃত বংশগত মাদক ব্যবসায়ীরা।
গতবছর চিহ্নিত বেশকিছু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও পোড়াভিটা এলাকায় ব্যাপক পুলিশি অভিযান চালানো হয়। এতে কিছু সময় মাদক ব্যবসা কম থাকলেও, অতি সম্প্রতি অজ্ঞাত কারণে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে করে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন দৌলতদিয়ার অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। শুধু এ মাদক ব্যবসায়ীরাই কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বিষয়টা এমন নয়, এদের মদদদাতা অর্থাৎ গডফাদাররাও তাই।
কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এমন গুনজন রয়েছে অত্র এলাকার মানুষের মুখে মুখে। যাদের নেতৃত্ব দৌলতদিয়ার পোড়াভিটাসহ একাধিক স্থানে প্রকাশ্যে চলছে এই মাদক ব্যবসা। বর্তমানে দৌলতদিয়াতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ী দিবারাত্রি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। গাঁজা থেকে শুরু করে হেরোইন পর্যন্ত এমন কোনো মাদক নেই যা পাওয়া যায় না দৌলতদিয়াতে। টাকার বিনিময়ে সমস্ত প্রকার মাদকের দেখা মিলছে এখানে। এতে একদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি, ছিনতাই। অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। তাতে অবশ্য মাথাব্যথা নেই কারোরই।
এতে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক গুটিকয়েক ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করার কারণে বন্ধ হচ্ছে মাদক ব্যবসা। দৌলতদিয়ার পোড়াভিটাসহ আশপাশের একাধিক স্থানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক, দেখছে সবাই। প্রতিবাদ করার সাহস নাই কারোরই। কারণ সরিষার মধ্যেই ভূত।
এ বিষয় জেলা পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে জানান, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে মাদকসেবন ও মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে । আর যারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা করছে, তাদের প্রত্যকের নামে ১০-১২টি মাদক মামলার রয়েছে। কেউ কেউ আবার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন