পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লালমনিরহাটে শীতে স্থবির জনজীবন

বীজতলা। ছবি : কালবেলা
বীজতলা। ছবি : কালবেলা

ভারতের হিমালয়ের নিকটবর্তী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অবস্থান হওয়ায় প্রতি বছর এখানে শীত অনুভূত হয় বেশি। সকাল থেকে ঘনকুয়াশায় রাস্তা-ঘাট ঢেকে থাকে। এতে হাটবাজারে লোকের সমাগম কমেছে। দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্নবিত্ত পরিবার শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পড়েছে অধিক। একই সাথে শীতজনিত ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, বুকের ব্যথাসহ বার্ধক্যজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে।

সাত দিন ধরে একটানা ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডায় বোরো ধান ও আলু খেতের বীজতলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, এ ধরনের শীত আর ৩ থেকে ৪ দিন অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় কৃষকেরা পরামর্শ না মানলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে চলতি জানুয়ারি মাসে শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকে। গত তিন দিন হতে সূর্যের দেখা নেই। মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। পাটগ্রাম পৌরসভার বাঁধের পাড়, পূর্বপাড়া, মাস্টারপাড়া, সাহেবডাঙ্গা, রেল স্টেশনপাড়া, চাত্রারপাড়, বেংকান্দা, সোহাগপুর, পাটগ্রাম, শ্রীরামপুর, বুড়িমারী, জগতবেড়, কুচলিবাড়ী, দহগ্রাম, জোংড়া ও বাউরা ইউনিয়নে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের কষ্ট বেড়েছে।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেস আবাসিক চিকিৎসক ডা. হাসান শাহরিয়ার শোভন বলেন, ‘অত্যাধিক শীতে শীতজনিত রোগী বেড়েছে। ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আকান্ত হয় বেশি। বহিঃবিভাগ হতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী আসছে শীতজনিত রোগ নিয়ে। এ ছাড়াও গত তিনদিনে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। অনেকে চিকিৎসাধীন আছে।’

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘এ উপজেলায় ৩২০ হেক্টর বীজতলা তৈরি প্রক্রিয়াধীন আছে। এর মধ্যে প্রায় ১২০ হেক্টর বোরো বীজতলা মাঠে আছে। যেহেতু দিনরাত ঘন কুয়াশা পড়ছে, এতে বোরো ধান ও আলু খেতের বীজতলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এজন্য কৃষকদের সর্তক করে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শীত আর ৩ থেকে ৪ দিন অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় কৃষকরা পরামর্শ না মানলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।’

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় শীত অধিক অনুভূত হচ্ছে দরিদ্র মানুষদের শীত নিবারণে এ পর্যন্ত ৩ হাজারেরও অধিক কম্বল জনপ্রতিনিধি ও আমরা বিতরণ করেছি। জেলা প্রশাসনের নিকট আরও চাহিদা জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিন দিনের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সূর্যকিরণ না থাকায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে বেশি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেবিন ক্রুদের আসল কাজ কী

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বড় সুখবর দিল সরকার

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে এবার আইপিএলে কাজ করা অ্যানালিস্ট

আমরা লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে : নেতানিয়াহু

৩ প্যাকেট কাঁচা নুডলস খেয়ে ১৩ বছরের কিশোরের করুণ পরিণতি

তিস্তার বন্যায় কৃষকের স্বপ্ন ভাসছে অনিশ্চয়তার অথৈ জলে

ব্যাংকিং টিপস / ব্যাংকের সুদের হার ও চার্জ সম্পর্কে সচেতন থাকুন

শতভাগ লুটপাটমুক্ত দল জামায়াতে ইসলামী : ড. মোবারক

মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে এসে মারা গেলেন ছেলেও

১০

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১১

সিঙ্গারে চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

১২

মেসিহীন মায়ামিকে বাঁচাল রদ্রিগেজের দুর্দান্ত গোল

১৩

গাজায় যেভাবে দুর্ভিক্ষ নেমে এলো

১৪

লেভান্তের মাঠে বার্সার রোমাঞ্চকর জয়

১৫

যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১৬

আকিজ গ্রুপে চাকরি, বেতন ছাড়াও থাকবে নানা সুবিধা 

১৭

বাগেরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

১৮

যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করছে ভারত

১৯

২৪ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২০
X