মানিকগঞ্জের ৫ নম্বর পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যাওয়ার ৫ দিন পরেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় ফেরিটি। ফেরি ডোবার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে পঞ্চম দিনে একটি ভুট্টাবাহী ট্রাক উদ্ধার করা হয়। তবে, এখনো নিখোঁজ ফেরির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক হুমায়ুন কবির ও পাঁচ ট্রাক। এছাড়া ঘটনার দিন ২০ জনকে জীবিত উদ্ধারসহ দুটি যানবাহন উদ্ধার করা হয়।
ফেরি দুর্ঘটনার দিন উদ্ধার কাজে অংশ নেয় উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা, দ্বিতীয় দিন রুস্তুম ও তৃতীয় দিন প্রত্যয়। এ ছাড়াও ঝিনাই-১ নামে আরও একটি জাহাজ ফেরি উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়ার জন্য বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে।
আরিচা স্থলকাম নদী-বন্দর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ডুবে যাওয়া ফেরির কাছে ৫০ ফুট পানির নিচ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে একটি ট্রাক টেনে তোলা হয়। এ নিয়ে ডুবে যাওয়া ৯টি যানবাহনের মধ্যে ৪টি যানবাহন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আজকে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ছয়জন ডুবুরি, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।
এ ছাড়া ইতোমধ্যে, ফেরি উদ্ধারের জন্য একটি রশি বাঁধার কাজ শেষ হয়েছে। আরও একটি রশি বাঁধার জন্য সলিংয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এটি সম্পন্ন হলে এয়ার লিফটিং ব্যাগ ডুকিয়ে বাতাসের সাহায্যে ফেরি কিছুটা ভাসিয়ে তারপর প্রত্যয়ের সাহায্যে ফেরিটি টেনে তোলার চেষ্টা চালানো হবে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে দুই দফায় প্রায় ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। কুয়াশা, শৈতপ্রবাহ আর নদীতে স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। তবে এখন ফেরি উদ্ধার অভিযান ও যানবাহন শনাক্ত করার কাজ চলমান।
এস এম আকবর আলি (যুগ্ম পরিচালক) বিআইডব্লিউটিএ বলেন, ঝিনাই-১ আসার পর ফেরি টেনে তোলার চেষ্টা চালানো হবে। তবে প্রত্যয়, হামজা, রুস্তুম আর ঝিনাই-১ দিয়েই যে ফেরি টেনে তোলা যাবে এটা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যদি এগুলো দিয়ে তোলা সম্ভব না হয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন