জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে জিলবাংলা চিনি কল

জিল বাংলা সুগার মিল। ছবি : কালবেলা
জিল বাংলা সুগার মিল। ছবি : কালবেলা

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিলের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বৃহৎ এই ঋণের অর্ধেকের বেশি ব্যাংকের সুদ। বিশাল এই ঋণের চাপ নিয়েই ৬৮তম মাড়াই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে এই চিনি কলটি।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে এ মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হবে।

চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, এবার আখ মাড়াই লক্ষ্যমাত্রা ৭০ হাজার টন এবং চিনি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার টন।

জামালপুরের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড ১৯৫৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় স্থাপিত হয়। তখন এর নাম ছিল জিল পাক সুগার মিলস লিমিটেড। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের অধীনে মিলটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম তিনটি চিনিকলের একটি।

প্রতিদিন ১ হাজার ১৬ টন আখ মাড়াই এবং ১০ হাজার ১৫০ টন চিনি উৎপাদনে সক্ষম এই মিলে প্রথম আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৮-৫৯ সালে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জিল বাংলা সুগার মিলকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত চিনিকলটি ৬৭টি মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে লাভের মুখ দেখেছে মাত্র ১৮টি মৌসুমে।

আখ চাষিদের অভিযোগ, সুগার মিলের সিন্ডিকেট আর নানা জটিলতায় বছর বছর বাড়ছে লোকসানের পরিমাণ। তাদের দাবি, আখের মূল্য নির্ধারণ, পরিশোধ জটিলতা এবং সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষিরা। এ ছাড়াও সময় মতো আখ সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষেতেই আখ শুকিয়ে যায় বলেও জানান তারা।

হাশেম নামে এক আখ চাষি কালবেলাকে বলেন, ‘কুশার (আখ) আবাদ কইরা লাভ নাই, ধান আবাদ বাইড়ছে। কুশার মিলে দিয়া ট্যাহা পাইতে দেরি হয়। এই জন্য কুশার আবাদ কমাই দিছি।’

সামাদ নামে আখ চাষি বলেন, ‘মিলের স্যাররা যদি কৃষকদের জন্য সবকিছু ঠিকমতো করে, তাইলে কুশার আবাদ আবার বাড়ব।’

জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল আলম কালবেলাকে বলেন, সবাইকে আহ্বান করব অন্যান্য চাষের পাশাপাশি আখ চাষ করুন। এই মিলটাকে টিকিয়ে রাখুন। আর সরকার ও শিল্প মন্ত্রাণালয় থেকে আমাদের পাঁচ বছর মেয়াদি রোডম্যাপ কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

পুরোনো এ মিলের আধুনিকায়ন এবং বহুমুখী উৎপাদনে যেতে হবে এবং কৃষকদের আখ চাষ বৃদ্ধি করতে পারলে এটি লাভের মুখ দেখবে বলে জানান তারিকুল আলম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাতিয়ায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু চিরনিদ্রায় শায়িত

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

১০

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

১১

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

১২

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

১৩

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

১৪

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

১৫

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১৬

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১৭

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৮

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৯

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

২০
X