সিলেট নগরীর পাঠানটুলার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে গুরুতর দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো দুজন হলেন মতিউর রহমান (৬৫) ও মন্তাজ (৩৫)।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুর আড়াইটার দিকের তাদের নিয়ে সিলেট থেকে রওয়ানা হওয়ার কথা। এরই মধ্যে হয়তো রওনা দিয়েছেন।
ডা. এম এ মান্নান বলেন, তাদের শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ হয়েছে মুখমণ্ডল ও কণ্ঠনালি, যা বিপজ্জনক। যে কারণে অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই তাদের ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাঠানটুলার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের শ্রমিকরা। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক পাম্পের রিফুয়েলিং মেশিনের কাছেই গ্রাইন্ডিং মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন ধরে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেওয়া হলেও ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে যাবার আগেই সিএনজি পাম্পের কর্মচারীরা স্টেশনটিতে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সিসিকের ৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। এ পাঁচজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অগ্নিদগ্ধরা হলেন- মন্তাজ মিয়া, লিটন মিয়া (২৫), আলম মিয়া (২৩), মতিউর রহমান ও সুভাষ দাশ (৫৫)।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এম এ মান্নান জানান, অগ্নিদগ্ধ ৫ জনের মধ্যে দুজনের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি দুজনের ৩০ ভাগ আর একজনের ২৮ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। পোড়ার পরিমাণ কম হলেও তাদের গুরুতর হিসেবেই ধরে নিতে হবে।
মন্তব্য করুন