জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি রেলস্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় তারাকান্দি চৌরাস্তা মোড় এলাকায় আব্দুস সালাম মাস্টারের বাসায় একদল শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে যায়। পরে প্রাইভেট শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় তারাকান্দি ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পাকা রাস্তায় রাব্বি নামে এক ছেলে তার সহপাঠী এক মেয়েকে রাস্তায় হাত ধরে টানাহেঁচড়া করছিল। এ সময় সঙ্গে ছিল রাব্বির বন্ধু কামরান।
বিষয়টি দেখে ওই এলাকার কলেজপড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী সাব্বির ও মাহিম প্রতিবাদ করলে রাব্বি উত্তেজিত হয়ে সাব্বিরকে একটি ঘুসি মারে। পরে এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষ বাধে। এরপর এলাকাবাসী উভয়পক্ষকে থামিয়ে দিলেও এর কিছুক্ষণ পর কামরানের বাবা টিটু তার দলবল নিয়ে সাব্বির ও মাহিমকে খুঁজতে থাকে। এ সময় টিটুর নির্দেশে ওখানে থাকা এলাকার উপস্থিত লোকজনকে তারা মারধর করে।
এই নিয়ে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ বাধে। হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে হাফিজুর ও ফরহাদ গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শারমিন সুলতানা শান্ত।
আহত ফরহাদ হোসেন বলেন, সোহেলের ছেলে রাব্বি পোগলদিঘা গার্লস স্কুলের এক ছাত্রীকে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করছিল। এটা এলাকার ছেলেরা দেখে প্রতিবাদ করে। কিন্তু রাব্বি তাদের প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়ে তার সহপাঠীদের ডেকে এনে হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন ছাড়াতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত টিটুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন