কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহিন পাহাড়ে ‘আরসার আস্তানা’য় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত অংশের পেছনের লাল পাহাড়ে এই অভিযান চালানো হয়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন উসমান, নেছার ও ইমান। তারা সবাই আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী।
সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহিন পাহাড়ে দুষ্কৃতকারীদের একটি দল আস্তানা গেড়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধ সংঘটন করছে এমন খবরে বুধবার গভীর রাতে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।
কয়েক ঘণ্টা ধরে চালানো অভিযানের একপর্যায়ে সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেলে র্যাব সদস্যরা। উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আস্তানাটি তল্লাশি করে ১৪টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও অর্ধ শতাধিক গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা গহিন পাহাড়ে আস্তানাটি গড়ে তুলেছিল। এই আস্তানা ব্যবহার করে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধ সংঘটন করছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা খুবই বেপরোয়া। হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক এমন কোনো অপরাধ নেই, তারা করছে না। পুরো এলাকাকে তারা বিষিয়ে তুলেছে। অভিযান অব্যাহত থাকলে অপরাধ কমবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান হবে বলে অবহিত করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
মন্তব্য করুন