ঝিনাইদহে আমেনা খাতুন কলেজে পিঠা উৎসব হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে এ আনন্দ আয়োজন। রবি নারিকেলবাড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
পিঠার এ আয়োজন বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শীতকাল এলেই গ্রামাঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে বাহারি সব পিঠা বানানোর আয়োজন চলে। তেমনি শীতকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আয়োজন করে পিঠা উৎসবের।
আমেনা খাতুন কলেজে ‘সবাই মিলে পিঠা খাই, আনন্দ উৎসবে মন রাঙাই’ স্লোগানে সামনে রেখে তেমনি এক পিঠা উৎসবের আয়োজন হয়েছিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রবি নারকেলবাড়িয়ার আমেনা খাতুন কলেজে।
উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেনা খাতুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত সভাপতি ভাষাসৈনিক মুসা মিয়ার ছেলে আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল। আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকুসহ কলেজের শিক্ষকরা।
উৎসবে আমেনা খাতুন কলেজসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উৎসবে রকমারি সব পিঠার আয়োজনে বসেছিল ২২টি স্টল। প্রতিটি স্টলে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। উৎসব শেষে প্রধান অতিথি সেরা তিনটি স্টলের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পিঠা উৎসবে ঘুরতে আসা শাওন হাসান বলেন, আমি একজন শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পেরে পিঠা উৎসব দেখতে এসেছি। বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়েছি। খুব মজার হয়েছে পিঠাগুলো। আমি চাই প্রতি বছর এমন আয়োজন করা হোক।
আয়োজক আমেনা খাতুন কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহিদুজ্জামান বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে রকমারি পিঠার আয়োজন আমরা করেছি।
কলেজের সভাপতি আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল বলেন, পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ আগতরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে এবং পিঠা সম্পর্কে জানতে পাড়ছে। আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখলে বাঙ্গালির ঐতিহ্য পিঠা সম্পর্কে শিক্ষার্থীসহ এলাকবাসী আরও তথ্য জানতে পারবে।
মন্তব্য করুন