টানা শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পুরো দিনাজপুর। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় ছিল ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জেলায় বর্তমানে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭%। কাশিপুরের ইজিবাইক চালক হাকিম বলেন, ‘একটানা এত দিনের ঠান্ডা গত দশ-বারো বছরেও দেখি নাই। মানুষ ঠান্ডার ভয়ে বাড়ি থাকিই বাহির হবার পারে না। কামাই করিম কেমন করি।’
এদিকে তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র শীতের কবল হতে রক্ষা পেতে গবাদিপশুগুলোকে চটের বস্তা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন এএইচএম মো. বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন