আসন্ন কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। গত ৩ জানুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ এ আদেশ দেন। এতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসিকে এ নিষেধাজ্ঞা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে নতুন করে কোনো প্রকার নির্বাচন করা যাবে না মর্মে মামলার বিবাদী শফিক চৌধুরী গংদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মুন্সি আশিকুর রহমান এটি ইস্যু করেন।
মামলার বাদী মজিবুর রহমান জানান, ২০১৬ সালে আদালতে নির্বাচন নিয়ে একটি মামলা দায়ের করি । এ মামলায় ২০২২ সালে আদালত কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে কোনো প্রকার নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হয় সে বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদী পক্ষ অবৈধভাবে একটি নির্বাচন করেন। পরে আদালত অবমাননা করার একটি মামলা দায়ের হয়। বিবাদী পক্ষ আদালতকে উপেক্ষা করে ৩১ জানুয়ারি আবারও একটি অবৈধ নির্বাচন করার জন্য তপশিল ঘোষণা করেছেন। এতে আমি নির্বাচন বন্ধের আবেদন করলে আদালত পূর্বের আদেশ বহাল রাখে। ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি আবারও বিবাদী পক্ষ অবৈধভাবে জোরপূর্বক নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। এ নির্বাচন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
এই বিষয়ে কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, আমি আদালতের আদেশকে সম্মান দেখিয়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনার শফিক চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছি। চিঠিটি তার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। সুতরাং এ কমিশনারের নির্বাচন করার এখতিয়ার নেই।
অপরদিকে শফিক চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনারকে এককভাবে অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার সাধারণ সম্পাদকের নেই। আমি বৈধ নির্বাচন কমিশনার। এ নির্বাচন বন্ধ রাখার কারণ নেই। আমরা নির্বাচন করব। আমরা মামলা বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব।
মন্তব্য করুন