পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে। কমেছে কুয়াশার ঘনত্ব। আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে তা ১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্যতা।
তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুই দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর ভোরে আকাশে মেঘ জমে থাকতে দেখা যায়। তবে মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দিতে দেখা গেছে সূর্যকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কেটেছে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব। সকাল থেকেই শ্রমজীবীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা দেখা গেছে। শীতের মাত্রা কমে যাওয়ায় নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ততা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, জানুয়ারি মাসের যে শীতের তীব্রতা ছিল তা কমে গেছে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হয়েছে। তবে সকালেই সূর্য উঠে যাওয়ায় স্বস্তি মিলেছে। কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। একই কথা জানান গ্রামীণ নারীরাও।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা কমে জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। এভাবে মাঘ মাস পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন