পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী বিথী সমদ্দারকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেছে স্বামী। ঘটনার পর স্বামী আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বানারীপাড়ায় তেতলা গ্রামে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার পর ঘাতক স্বামী সুমন রায় (৩৩) নিজেই ৯৯৯-এ কল করে স্ত্রীকে হাতুড়িপেটা করে ‘মার্ডার’ করেছেন জানিয়ে পুলিশের কাছে আাত্মসমর্পণ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিথী সমদ্দারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়। ওই দিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ৫ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াকান্দি গ্রামের বাসুদেব সমদ্দারের মেয়ে বিথী সমদ্দারের সঙ্গে বানারীপাড়ার উদয়কাঠি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তেতলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সুধীর রায়ের ছেলে সুমন রায়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সুপ্তী রায় নামের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিথী ও সুমন একে অপরকে সন্দেহ করত। সন্দেহ ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহের জেরে রোববার বেলা ১১টার দিকে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে সুমন হাতুড়ি দিয়ে বিথীর মাথায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে সুমনকে আটক করেন। এ সময় সুমন জনরোষ থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে স্ত্রীকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেছেন জানিয়ে পুলিশের কাছে আাত্মসমর্পণ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম জানান, আসামি সুমন রায়কে আটক করা হয়েছে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে বিথীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন