জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদার। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষারত অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালীন সময় ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শোডাউনে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল এবং দুই শতাধিক অটোরিকশা ছিল বলে জানা গেছে। এ সময় শত শত মোটরসাইকেল থেকে তীব্র সাইরেন, হর্ন ও মাইক বাজানো হয়। যার ফলে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় কেন্দ্রের সামনের পুরো রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরীক্ষা চলাকালীন সময় এমন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী, কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাইরে অবস্থানরত অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলেন, আমরা পরীক্ষা দেওয়ার সময় বাইরে প্রচণ্ড সাইরেন ও হর্নের শব্দ হচ্ছিল। যার ফলে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত কয়েকজন অভিভাবক বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আমরা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করছিলাম। এমন সময় রাস্তায় দেখি এক চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজার হাজার মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা নিয়ে তীব্র সাইরেন, মাইক ও হর্ন বাজিয়ে আসছেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময় এমন কাণ্ড যারা করে তারা চেয়ারম্যান হয়ে কী উপকার করবে? আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের হল সুপার (ভোকেশনাল) ও জিএম কিবরিয়া বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন বাইরে তীব্র সাইরেন ও মাইকের শব্দ শুনেছি। শুনলাম কোনো এক নেতা শোডাউন দিচ্ছে। এতে পরীক্ষার্থীরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা চাইলে পরীক্ষার পর শোডাউনটি দিতে পারত। এটা যারা করেছে তারা অন্যায় করেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সব সাইরেন বন্ধ করা হয়েছিল। কোনো শব্দ হয়নি।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শোডাউনের বিষয়ে আমাদের থেকে তিনি কোনো অনুমতি নেননি। এজন্য পূর্ব থেকে এ বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান আল ইমরান বলেন, আমি বিষয়টি জানি না, আপনার থেকেই শুনলাম।
মন্তব্য করুন