মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসপাতালের কক্ষকে বেড রুম বানিয়ে বসবাস

হাসপাতালের কক্ষকে নিজের বেড রুম বানিয়ে থাকছেন পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। ছবি : কালবেলা
হাসপাতালের কক্ষকে নিজের বেড রুম বানিয়ে থাকছেন পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। ছবি : কালবেলা

মানিকগঞ্জের পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার ফৌজিয়া মালেক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের একটি কক্ষ নিজের দখলে রেখে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পরিবার ও পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. মনিরুজ্জামান ক্ষমতার অপব্যবহার করে সদর উপজেলার ফৌজিয়া মালেক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চারতলার একটি কক্ষ নিজের দখলে রেখে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। তিনি মেটারনিটি সংলগ্ন মসজিদের দুই টনের জেনারেল এসি আরাম আয়েসের জন্য নিজ রুমে বসিয়েছেন।

মেটারনিটি হাসপাতালের ভেতর বহিরাগতদের গাড়ি অবৈধভাবে পার্কিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, বিভিন্ন কৌশলে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলি বাণিজ্য করা এবং পরিবার, পরিকল্পনাসংক্রান্ত কোনো অনুষ্ঠানে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায় থেকে যেসব জনপ্রতিনিধিরা আসেন তাদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় দেড় বছর আগে গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় ভাড়া অফিসে নিজ নারী সহকর্মীকে জরিয়ে ধরে অশ্লীলতা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরে লাজলজ্জার ভয়ে স্থানীয়রা নারীসংক্রান্ত বিষয়টি মিটমাট করে ফেলেন।

মেটারনিটি হাসপাতালের চতুর্থ তলায় পশ্চিম পাশে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের এক পরিছন্নতা কর্মী মনিরুজ্জামানের থাকার কক্ষটি ধোয়ামোছা করছেন। কক্ষের ভেতরে ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন, সোফা, বিলাশবহুল খাট, স্মার্ট টিভি, স্টিলের আলমারি, ড্রেসিং টেবিলসহ আরও অনেক ব্যবহারিক আসবাপপত্র রয়েছে।

এ বিষয়ে ফৌজিয়া মালেক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. জেরিন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি মেটারনিটি হাসপাতালের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে মনিরুজ্জামানের থাকার কথাটি স্বীকার করে জানান, যেহেতু ডিডি স্যার তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, সকল আইনকানুন মেনে তিনি ফৌজিয়া মালেক মা ও শিশু পরবার কণ্যাণ কেন্দ্রের চতুর্থ তলার কক্ষে বসবাস করছেন। অন্যসব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, অভিযোগের কোনো কপি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আবু সাঈদের বাবা

ভারতে গেল প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম

এবার আমাদের লক্ষ্য সংসদ ভবন : নাহিদ

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘সংস্কার কমিশনকে বলেছি, ৫ আগস্টের আগে জুলাই সনদ করতে হবে’

কোনো দলের সম্পদ নয়, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের : সারজিস

ফিফার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও এক ক্লাব

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন

ওসি পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা

১০

সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি মেরামতে সহযোগিতা দেবে ভার‍ত

১১

যশোরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১২

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর

১৩

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে উত্তরায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল 

১৪

কিছু ষড়যন্ত্রকারী দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত করতে চায় : এনডিপি

১৫

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জামায়াতের আমির

১৬

বাঙলা কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবির ও সেক্রেটারি সাকিব

১৭

উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস, ডেকে আনছেন যেসব ক্ষতি

১৮

পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

১৯

পুলিশ সদর দপ্তরের পর্যালোচনা / ছয় মাসে ২৭ হত্যার কোনোটিই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নয়

২০
X