সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মন্ডল ও তার ছেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দৌলত মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে এবং পরে দোকানে গিয়ে তার ছেলে মোমিনকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এর আগেও গত ৯ জানুয়ারি ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফের নেতৃত্বে দৌলত মন্ডল ও তার ছেলেকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরমানের ফেক্সিলোডের দোকানে এসে হামলা চালায় এমপি মমিন মন্ডল সমর্থক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর ভাই আব্দুল মান্নান। এ সময় উভয়ের মধ্যে মারামারি হলে দুজনেই আহত হন। এরপরই ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী দলবল নিয়ে দৌলত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করেন এবং পরে দোকানে এসে দৌলত মন্ডলের ছেলে মোমিন মন্ডলকে মারধর করেন।
পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মন্ডল বলেন, আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত আমাকে ডেকে বাড়ির বাইরে নিয়ে মারধর করে। এরপর চালা এলাকায় আমার দোকানে গিয়ে ছেলে মোমিনকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, সংসদ নির্বাচনের জের ধরে এর আগেও আরমানকে মারধর করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ভাইস চেয়ারম্যানের ভাই মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আজকে আব্দুল মান্নান আবারও হামলা চালায় আরমানের ওপর। এ সময় দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। দুজনেই আহত হন। পরে ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দৌলত মন্ডল ও তার ছেলের ওপর হামলা করা হয়।
বেলকুচি থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান জানান, আরমান ও মান্নানের মারামারির কথা শুনেছি। তারা দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দৌলত মন্ডল ও তার ছেলের ওপর হামলার বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। সকল বিষয় তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন