নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে মো. রাসেল নামে তিন বছরের এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। বাকিরা চমেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে চার শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দগ্ধ সাতজনকে হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। তিনি বলেন, ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত সাত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন রাসেল নামের ৩ বছরের এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
চমেক সূত্র জানায়, বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা দুই নারী আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ এবং জুবাইরার ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাছাড়া ৫ বছরের দুই শিশু মো. সোহেলের ৫২ শতাংশ এবং রুবি আলমের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিন বছরের দুই শিশু রাশমিনা ৫০ শতাংশ এবং মোবাশ্বেরার শরীরের ৬২ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে সোহেল, রুবি, রাশমিনা, মোবাশ্বেরার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে শনিবার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হয়। এরপর ভাসানচর থানা পুলিশের সহায়তায় দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ২০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে তাদের জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সবশেষ তাদের চমেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন