নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, বিগত সময়ে দেশে প্রায় ৮০০টি নির্বাচন ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। তাই ইভিএমে আস্থা রাখুন।
তিনি বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা ব্যয়বহুল। তারপর যে কোনো নির্বাচনই অনেক বড় কর্মযজ্ঞ। তাই প্রার্থী ও ভোটাররা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশসহ অবস্থানে নিজ নিজ জায়গা থেকে নির্বাচনে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করলে ভালো হয়।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে প্রথমবারের মতো সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাড়াশ উপজেলা মিলনায়তনে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করেন। এজন্য সবাই মিলে তাদেরও সহযোগিতা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সিরাজগঞ্জের মেয়ে। আর গ্রামে বেড়ে উঠেছি। আমি দেখেছি এই এলাকার মেয়েরা নির্বাচনে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নিয়ে ভোট দেখতে বাবার বাড়ির এলাকায় চলে আসেন। দেশের মানুষের কাছে যে কোনো নির্বাচনই উৎসবের মতো। তাই এ উৎসবে প্রত্যেককে সহনশীল হতে হবে।
তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরী তাসনীম উর্মির সঞ্চালনায় ওই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক, বাবুল শেখ, শহিদুল ইসলাম, মো. আলামিন হোসেন, কাউন্সিলর প্রার্থী রোখসানা খাতুন, আমিনা খাতুন, বাবু তালুকদার, সাহাবর হোসেন খাঁন প্রমুখ।
এ ছাড়া প্রসাশনের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম, তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ জুলাই তাড়াশ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১৯ হাজার ২৮৭ জন ভোটার ভোট দিয়ে মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন। আর মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ৬১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য করুন