চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৯ এএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি

‘এখনও অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে’

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নোয়াখালীর মো. সালেহ আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নোয়াখালীর মো. সালেহ আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ফাইটার হিসেবে কর্মরত মো. সালেহ আহমেদ তার স্ত্রীকে অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘একটু আগে সেহেরি খেয়েছি। এখনো অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে।'

অপহৃত মো. সালেহ আহমেদ (৪৮) নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত সাখাওয়াত উল্লাহর ছেলে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার স্ত্রী, তিন কন্যা ও ভাই-বোনরা সবাই কান্নাকাটি করছেন। তাদের কান্নায় যেন বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।

কান্না জড়িত কণ্ঠে সালেহের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামীসহ সবার মোবাইল ফোন জলদস্যুরা নিয়ে গেছে। তারা সেহেরি খেতে দিয়েছে। আমার স্বামী আমাকে অডিও বার্তা পাঠাইসে। সেখানে বলেছে- ‘একটু আগে সেহেরি খেয়েছি। এখনো অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে। আর যোগাযোগ করতে পারবো কিনা জানি না। আমার মেয়েদের দিকে নজর রাখিও। আমার জন্য দোয়া কইরো।'

সালেহের কন্যা তাসফি (১৪) বলেন, আমার বাবা আমাকে কল দেয় না। আমাদের সঙ্গে কথা কয় না। কই পামু তারে। কবে আসবে বাবা? আমার বাবারে আইনা দেন।

সালেহের ভাই তানজিমুল হাসান ফাহিম বলেন, আমাদের বাবা-মা নেই। আমরা চার ভাই এক বোন। আমার ভাই অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি কারো সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতেন না। তিনি আমাদেরকে বড় করেছেন। তার অপহরণের খবর পেয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। উনার মতো মানুষ হয় না। যত দ্রুত সম্ভব সরকার সবাইকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। এটাই আমাদের চাওয়া।

সালেহের একমাত্র বোন জান্নাতুল ফেরদাউস রানী বলেন, আমার ভাইয়ের তিনটা মেয়ে ও স্ত্রী আছে। তার মেয়ে খালি কান্না করছে। আর বাবার খবর জিজ্ঞেস করছে। আমার ভাবি বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।

চাচাতো ভাই মনির হোসেন সোহেল বলেন, সালেহ নামাজি মানুষ। সে প্রচুর দান করতো। এলাকার মসজিদ মাদ্রাসায় সে প্রতিনিয়ত দান করতো। তার অপহরণের খবর শুনে এলাকার সবাই কান্নাকাটি করতেসে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ২৩ জন জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে দুই জনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। অ্যাবল সিম্যান (নাবিক) হিসেবে মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর (২৯) বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ ও ফাইটার মো. সালেহ আহমেদের বাড়ি চাটখিলে। তাদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে বিস্তারিত জানিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আফগানিস্তানের ২০০’র বেশি সৈন্য নিহত, পাকিস্তানির দাবি

১০ দলের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করছে ইসি

ট্রাম্পের গাজা শান্তি সম্মেলনে ডাকা হয়েছে মোদিকে!

সোনারগাঁওয়ে ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম থেকে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা

পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের যেসব দাবি

চাকসু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ, সর্বাবস্থায় সংরক্ষিত থাকবে সিসিটিভি ফুটেজ

তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে নতুন দৌলতপুর : শরিফ উদ্দিন জুয়েল

ইউটিউব চ্যানেল দ্রুত জনপ্রিয় করতে মানুন এই ৮ টিপস

ওসমানী উদ্যানে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’

১০

মসজিদে সিঁড়িতে ঝুলছিল প্রবাসীর লাশ

১১

দুদকের সাবেক কর্মকর্তার বাসায় সেনা অভিযান, শটগান উদ্ধার

১২

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করলেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত 

১৩

‘কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস

১৪

সংঘর্ষে কত সেনা নিহত জানাল পাকিস্তান

১৫

বেপরোয়া গতির বাস-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১

১৬

এডিএ অ্যাপে প্রতারণা, নারী গ্রেপ্তার

১৭

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৮

ইলিয়াস কাঞ্চনের আরোগ্য কামনায় শাকিব খানের দোয়া

১৯

হলিউডের জনপ্রিয় গায়িকার সঙ্গে ট্রুডোর অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস

২০
X