কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীম, দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর ও কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি, হয়রানি ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাঁচ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন তারা।
অভিযোগকারী ওই পাঁচ মেয়র প্রার্থী হলেন- এমএ কাইয়ুম ভূঁইয়া (ক্যারামবোর্ড), মো. আবুল কাশেম (নারকেল গাছ), শাহজাহান মোল্লা (ইস্ত্রি), এবিএম আতিকুর রহমান বাসার (মোবাইল ফোন) ও শরিফুল ইসলাম সুমন (চামচ)।
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, দেবিদ্বার থানার ওসি ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা রাতের আঁধারে অভিযানের নামে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তারা যাতে নির্বাচনী কাজ না করে তার হুমকি দিচ্ছেন। এটা তো নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং হতে পারে না। তাদের এমন ভূমিকা অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত হবে। আমরা সুষ্ঠু ভোট চাই ও ভোটের পরিবেশ চাই। সাধারণ মানুষ যাতে ভোট কেন্দ্রে এসে নিরাপদে তাদের ভোট দিতে পারে এমন একটি পরিবেশ চাই। এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় একটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ কাইয়ুম ভূঁইয়া। সংবাদ সম্মেলনে তিনিও লিখিত বক্তব্য দেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘণ করে অন্তত ৫০টিরও বেশি নির্বাচনী কার্যালয় বানিয়েছেন। তিনি নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও হামলা করছেন। বারোরায় নির্বাচনী গণসংযোগ করতে গেলে নৌকার প্রার্থীর বহিরাগত কর্মী-সমর্থকরা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমার প্রাণ বাঁচাতে আমাকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়, না হলে তারা আমাকে মেরে ফেলত। এ সময় আমার তিন কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতেও আমার দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন আমাদের নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দিচ্ছে। স্থানীয় এমপি রাজী ফখরুল তার বনকুট বাড়িতে আমার কর্মীদের ডেকে নিয়ে আমার পক্ষে কাজ না করতে চাপ প্রয়োগ করেন। এটি সুস্পষ্ট নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ।
পৌর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে ক্যারামবোর্ড প্রতীকের এ প্রার্থী আরও বলেন, থানার ওসি ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি ও আমার নির্বাচনী কাজ না করতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় এমএ কাইয়ুম ভূঁঞা ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন মো. সবুর খান।
কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুঞ্জুরুল আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় কেউ বাঁধা সৃষ্টি না করে সে জন্য তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। আমরা শতভাগ চেষ্টা করব নির্বাচন সুষ্ঠু করার।
মন্তব্য করুন