বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শেবাচিমে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট, জিম্মি রোগীরা

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে। ছবি : কালবেলা
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে। ছবি : কালবেলা

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ১৯০ ইন্টার্ন চিকিৎসক ৪ দিন ধরে কর্মবিরতি ডাকায় জিম্মি হয়ে পড়েছে রোগীরা। তারা ৩০ হাজার টাকা বেতন-ভাতার দাবিতে এ কর্মবিরতি ডেকেছে। দায়িত্ব পালন না করায় ৪ দিন ধরে আশানুরূপ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

হাসপাতালের অধিকাংশ রোগীই কম আয়ের। তাই বেসরকারি সেবা নিতে না পেরে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে রয়েছে। সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা রোস্টার করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও তা খুবই অপ্রতুল বলে দাবি রোগী ও স্বজনদের। তাই অবিলম্বে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।

তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে অর্থ সংকটে পড়ে বাধ্য হয়ে এ আন্দোলন ডেকেছে বলে দাবি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। তাই দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতাকর্মীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৩ মার্চ) রাত থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি রোববার (৩১ মার্চ) শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

রোগী আবদুল মোতালেব বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা আগে নিয়মিত দেখে যেতেন। এখন কদিন ধরে তাদের হাসপাতালে দেখছি না। তাই চাহিদা মত সেবাও পাচ্ছি না। বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর টাকা নেই। তাই এখানে পড়ে থেকে ভুগছি।

বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের প্রাণ। তারা কর্মবিরতিতে থাকলে রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় অন্যান্য চিকিৎসকদের। সেক্ষেত্রে সেবা ব্যাহত হওয়া স্বাভাবিক। তাই অবিলম্বে কর্মবিরতি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দাবি আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে আহ্বান জানান তিনি।

ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, একজন দিনমজুর ৮ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন। সেখানে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ১৪-১৬ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন। তবুও আমরা ন্যায্য বেতন পাই না। আজকাল বাসাভাড়া দিতে হয় ১০-১২ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বেতন মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এ টাকায় একজন মানুষ চলতে পারে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তবে কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এ চিকিৎসক নেতা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুবদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

জবি শিক্ষার্থীদের বাস সেবা দিতে চায় শিবির, অনুমতি দেয়নি কমিশন

ইউক্রেন শান্তি চুক্তি আলোচনায় বড় অগ্রগতি

এসএসসি পাসে মীনা বাজারে চাকরির সুযোগ

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা

পুরুষদের প্রস্টেট চেক করানো কেন জরুরি

১০৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫২ জনের গণশুনানি

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, দ্বিতীয় ঢাকা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া ছাড়া উপায় নেই : ইরান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধে বৃদ্ধ নিহত

১০

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১১

হুমকির মুখে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জাতীয় গ্রিড লাইন

১২

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদত্যাগ

১৩

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকতে পারে

১৪

আড়ং ডেইরিতে নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৫

২৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৬

নাশতায় যেসব খাবার নীরবে বাড়াচ্ছে আপনার রক্তচাপ

১৭

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৯

বিয়ের সাজ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা, সিনেমা স্টাইলে হাসপাতালেই বিয়ে

২০
X