গাজীপুরের শ্রীপুরে শরিফা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ গৃহবধূর স্বজনদের। এর আগে স্ত্রীর করা মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হন নিহত গৃহবধূর স্বামী।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের মুরগির বাজার এলাকায় মো. শাহজাহানের বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ শরিফা আক্তার (২৩) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের মো. ইয়াসিন আরাফাত শুভর স্ত্রী। তার বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। তাদের দাম্পত্য জীবনে ইশরাত জাহান নামে আাড়াই বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- নিহত গৃহবধূর স্বামী ইয়াসিন আরাফাত শুভ (২৬) ও শাশুড়ি ইয়াসমিন আক্তার (৪৫)।
নিহত গৃহবধূ শরিফার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর থেকে মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী-শাশুড়ি মিলে। নির্যাতনের কারণে বেশিরভাগ সময় মেয়ে আমার বাড়িতে থাকত। আজ সকাল ১০টার দিকে জানতে পারি স্বামী-শাশুড়ি মিলে মেয়েকে মেরে ফেলেছে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মেয়ের লাশ বাড়ির উঠানে পড়ে রয়েছে। এমন কোনো সপ্তাহ নাই যে সপ্তাহে ওরা আমার মেয়েকে মারধর করেনি। সারারাত কত নির্যাতন, কত কষ্ট দিয়ে ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে একমাত্র আল্লাহই জানেন।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে থানা পুলিশকে অবগত করি। পুলিশ এসে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী শাশুড়িকে নিয়ে গেছে পুলিশ।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন