ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. ওহিদুজ্জামান। এর আগে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের পরিবারের নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
শুক্রবার (৩ মে) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা নগরকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াসিন কবীর।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান মনোনয়ন দাখিল করেন। গত ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ২৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কামরুল আহসানের কাছে আপিল করেন। গত ২৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক তার আপিলটি খারিজ করে দেন। পরে গত ২ মে তিনি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে (প্রার্থিতা বাতিলের) হাইকোর্টে রিট করেন। তবে সালথায় চেয়ারম্যান পদে ওহিদুজ্জামান একক প্রার্থী হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ শেষে ২ মে ওহিদুজ্জামানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন কবীর কালবেলাকে বলেন, আমরা সালথায় দুইজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পাই। প্রাথমিক বাছাইয়ে পরিবারের সদস্যের (স্ত্রী) নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকায় ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর মনোনয়ন ফিরে পেতে ওয়াদুদ মাতুব্বর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আপিল করেন। কিন্তু তার মনোনয়ন ফের বাতিল ঘোষণা করা হয়। তাই নিয়মানুযায়ী আর কোনো প্রার্থী না থাকায় মো. ওহিদুজ্জামানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাতিলকৃত প্রার্থী হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন শুনেছি তবে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো কাগজপত্র আসেনি। এ সংক্রান্ত কিছু পেলে সেটাও ইসিতে পাঠানো হবে। যদি বাতিলকৃত প্রার্থীর কোনো কাগজপত্র না আসে তাহলে বেসরকারিভাবে যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাই বহাল থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ওয়াদুদ মাতুব্বর তার মনোনয়ন প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, জেলা প্রশাসক মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়ায় আমি হাইকোর্টে রিট করেছি। কোর্ট আমার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করলে উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই আদেশ বাতিল হয়ে যাবে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে।
ফরিদপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলার সব ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনের সব সরঞ্জামাদি স্ব স্ব উপজেলায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন