কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন ঝলম গ্রামের ডাকাতিয়া নদী সংযুক্ত খালটি এখন অস্তিত্ব সংকটে। খালটি এক কিলোমিটারজুড়ে ভূমিদস্যুদের দখলে। খাল দখল করে কেউ বেঁধেছে চলাচলের ব্যক্তিগত রাস্তা আবার কেউ আরসিসি পিলার করে ফাউন্ডেশন নিয়ে বেঁধেছে বাড়ি ও দোকানঘর। এ এলাকায় যেন খাল দখল করার প্রতিযোগিতা চলছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন ঝলম গ্রামের দক্ষিণে চলে গেছে মনোহরগঞ্জ থানার রাস্তা। রাস্তার উত্তর পাশে দিয়ে বয়ে গেছে সরকারি খাল। এ গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ব্যবস্থা খালটি। কয়েক বছর থেকে গ্রামের কিছু প্রভাবশালী মহল খালটি অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করছে বসতবাড়ি, ব্যক্তিগত চলার রাস্তা ও দোকানঘর। এভাবে খালটি দখল করে আছে গ্রামের শতাধিক পরিবার। স্থানীয়রা প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবগত করিলেও এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন : রাস্তায় জলাবদ্ধতা যত্রতত্র আবর্জনা
ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রতন কুমার দেববর্মার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালটি দখল করার বিষয়ে আমাকে অনেকে অবগত করেছে। ইতোমধ্যে অবৈধভাবে খাল দখলকারীদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছে।
খাল দখলের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হাওলাদার (হিরন) জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ও উন্মুক্ত দেখেছি এ খালটি। যদি কেউ খালটি দখল করে গ্রামের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করে। আমি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, অবৈধ খাল দখলদারদের নামের তালিকা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। অতি শিগগিরই অবৈধ খাল দখলদারদে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন