ফরিদপুরের চরকমলাপুরে একটি রিকশার গ্যারেজ ঘরে বারুদের বিস্ফোরণে শামীম হোসেন (১৩) নামে এক তরুণ আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে তার ডান চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ডান হাতের দুটি আঙুল ও কনুইয়ের মাংস বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত শামীমকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বিএসএমএমসি কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শামীম হোসেন সালথা উপজেলার লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের মঙ্গল মোল্যার ছেলে। তিনি চরকমলাপুর জোড়া ব্রিজ সংলগ্ন জনৈক মনির হোসেনের ওয়ার্কশপের কর্মচারী।
বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে শামীম আহত হয় বলে একটি সূত্র জানালেও পুলিশ সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি। তারা বলছে, পাইপের মধ্যে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ঢোকানোর সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে তারা সেখানে বোমা তৈরির কোনো আলামত পাননি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে রিকশা গ্যারেজে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে যান। তারা সেখানে শামীমকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ছেলেটি ১২ থেকে ১৩ বছর বসসী, বিষয়টি আসলেই কি ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বোমা তৈরির কোনো সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। তাই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল কিনা সেটি নিশ্চিত না। তবে ওই ছেলেটি সম্ভবত পাইপের মধ্যে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ঢুকাচ্ছিল। আমরা তেমন কিছু আলামত পেয়েছি। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জ্ঞান ফিরলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন