ডিস লাইনের সংযোগ দেওয়ার সুবাদে তিন মাসের পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম। সেখান থেকে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আকাশ নামে এক ডিসলাইন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আকাশ নামের ওই যুবক চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে টানা দুদিন একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর পরবর্তী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহর থেকে তরুণীকে নিয়ে যায় কুমিল্লায়। তবে এবার তার পরবর্তী পরিকল্পনা সফল হয়নি। কুমিল্লা থেকেই আটক করা হয়েছে তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার (২৬ মে) ধর্ষণ মামলায় আকাশ নামের ওই ডিসলাইন কর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৫ মে) সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানা এলাকা থেকে ওই তরুণীর স্বজনরা আকাশকে আটক করে। এরপর বিকেলে তাকে বায়েজিদ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার মো.আকাশ (২৪) কুমিল্লা দক্ষিণ ভাঙ্গুরা থানার বরিছারা এলাকার মো. ফুল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে বায়েজিদ বার্মা কলোনির মানোয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে বার্মা কলোনির রাজীব নেটওয়ার্ক থ্রি ইন ওয়ান হাই স্পিড ইন্টারনেট সার্ভিসের কর্মচারী।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩ মাস আগে মামার বাসায় ডিস লাইন সংযোগ দেওয়ার সময় দশম শ্রেণী পড়ুয়া তরুণীর সাথে পরিচয় হয় আকাশের। এরপর সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। গত ২২ মে সকালে কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফিরছিলেন ওই তরুণী। ফেরার পথে বায়েজিদ থানার আলমগীর সড়ক দুই নম্বর রোডে শাহাদাত ভ্যারাইটিজ স্টোরের সামনে থেকে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অলংকার মোড়ের একটি হোটেলে নিয়ে যায় আকাশ। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানার নয়া মসজিদ পশ্চিম পাড়া ইসমাইল ফয়েজ রোড এলাকায় বন্ধুর বাসায় নিয়ে সেখানেও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় তরুণীকে।
বায়েজিদ থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা কালবেলাকে বলেন, 'অভিযুক্ত আকাশ এক সন্তানের জনক। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে স্বজনরা কুমিল্লা থেকে তাকে আটক করে ২৫ তারিখ বিকেলে বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করে এরপর আকাশের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।'
ওসি আরও বলেন, 'ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার আদালতের হাজিরের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'
মন্তব্য করুন