ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টির কবলে পড়েছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া। বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে।
সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারি বৃষ্টিতে রূপ নিয়েছে, সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের তীব্রতা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টির কবলে পড়লেও বাতাসের তীব্রতায় এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। খুব বেশি প্রয়োজন ঘরের বাইরে খুব একটা বের হচ্ছেন না কেউ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষরা। দমকা হাওয়ার গতিবেগে উপজেলাবাসী শঙ্কিত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ মিয়া কালবেলাকে বলেন, কয়েকদিন ধরেই শুনছি ঘূর্ণিঝড় আসছে। এরকম খবরে আমরা আতঙ্কিত ছিলাম। ভোর থেকে প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, পরে ধীরে ধীরে বৃষ্টি বাড়তে শুরু করে, সঙ্গে শুরু হয় দমকা বাতাস। টানা বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা ফারুক আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে তীব্র বাতাস। এতে জনমনে শঙ্কাসহ জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত আমাদের এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
স্থানীয় বিদ্যাপীঠ বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আমীর হোসেন কালবেলাকে বলেন, এমনিতেও এই উপজেলায় বৃষ্টির চাহিদা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড়ের খবরে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। আজকে ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় ভারি বৃষ্টি ও দমকা বাতাস। তবে এখনো এ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন