উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ১৫ ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এতে একজন নিহতসহ ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও উপকূলীয় এ অঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামিম মিয়া।
বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ১৫ ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের খুতি বয়াতির ছেলে রহিম বয়াতি (৫৫) সোমবার দুপুরে বসত ঘরের ওপরে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে আরেকটি গাছের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
নিহত রহিম বয়াতির ভাই হানিফ বয়াতি জানান, সোমবার দুপুরে রহিম বয়াতির ঘরের ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়ে। সেই গাছটি সরাতে গেলে রহিমের ওপর আর একটি গাছ পড়ে। ঘটনাস্থলে রহিম মারা যান।
ইউএনও শামিম মিয়া বলেন, এ তথ্য আমাদের কাছে আগে আসেনি। আমরা রহিমের পরিবারকে সহায়তার ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া বরগুনা জেলায় ১৫ ঘণ্টার তাণ্ডবে ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি প্লাবিত হয়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৪ হাজার ১৫৭ হেক্টর মাছের ঘের ও জলাশয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, জেলার আনুমানিক ৩ হাজার ৩৭৪টি ঘর সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত এবং ১৩ হাজার ৩৪টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বেশি ক্ষতি হয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের রামরা ও আয়লা গ্রামে। দুই পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার বরগুনা শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের টিম দিন-রাত কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য জানা গেছে, তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হতে পারে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা জানাব।
মন্তব্য করুন