বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারও নেতাকর্মী।
ফেনীতে গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বিএনপির পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় হাজারও নেতাকর্মীকে আসামি করায় গ্রেপ্তার এড়াতে ঘরছাড়া হয়েছেন।
ঘটনার রাতেই পুলিশে পক্ষ থেকে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলাতেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল খালেক, এয়াকুব নবী, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিনসহ সব উপজেলা নেতারা, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৮৮ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে এবং ১ হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজারজনকে অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় যদিও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবুও যে কোনো মুহূর্তে- যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তা ছাড়া দুই হাজারজনকে অজ্ঞাত আসামি করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা, যে কোনো সময়, যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন : নির্বাচনী সহিংসতা : টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গ্রাম
গত মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রার সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) হায়াতউল্লাহ বাদী হয়ে এ দুটি আলাদা মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলাতেই একই ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলাতেই ৮৮ জন করে আসামির নাম-ঠিকানা উল্লেখ এবং ১ হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজারজনকে অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে আসামি করা হয়েছে। তবে দুটি মামলার একটি করা হয়েছে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশ এসল্টের ঘটনা ও অপর মামলাটি করা হয়েছে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে।
এ দুটি মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন বলেন, পুলিশ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ দুটি মামলা দায়ের করেছে। যাতে আগামী দিনে গ্রেপ্তারের ভয়ে কেউ আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ না করেন।
তিনি বলেন, এত বেশি সংখ্যক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে যাতে কোনো সাধারণ সমর্থক মাঠে না থাকতে পারেন। কিন্তু এসব করে বিএনপিকে মাঠছাড়া করা যাবে না। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেই হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়লেও এলাকা ছাড়েনি। তাদের আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না। বৃহস্পতিবার বিকেলেও শহরের ইসলামপুর রোড থেকে লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে নিহতের স্মরণে সভা ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ফেনী শহরের বিভিন্ন মসজিদে ফেনী জেলা বিএনপির লিফলেট বিতরণ করা হয়। মামলা হামলা করে আন্দোলন দমানো যাবে না।
মন্তব্য করুন