নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাসানকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে নিহত মাহবুবুল হাসানের ছোট ভাই হাফিজ উল্লাহ বাদী হয়ে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতাউর রহমানকে প্রধান আসামি করে মাধবদী থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর এলাকার মেসার্স মা বাবা ট্রেক্সাটাইলের সামনে মাহবুবুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় আহত হয়েছেন তার সঙ্গে থাকা সাঈদ হাসান পাপ্পু ও ফরহাদ মিয়া নামে আরও ২ জন।
নিহত মাহবুবুল হাসান ভগীরথপুর এলাকার হাজী ইমাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি মাহবুবুল হাসান মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ১২টায় নরসিংদী সদর উপজেলার ভগিরথপুর চেয়ারম্যান মার্কেটের নিজ অফিস থেকে ৮-১০ জনকে নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাসান। তারা ভগিরথপুরের মেসার্স মা বাবা টেক্সটাইলের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থালা সন্ত্রাসীরা ককটেল ছোড়ে। এ সময় মাহবুবুল হাসানের সঙ্গে থাকা সমর্থকরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান। এরই সুযোগে হামলাকারীরা সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসানকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে মাহবুবসহ ৩ জন আহত হন। তাদের মধ্যে মাহবুব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
পরে স্থানীয়রা আহত মাহবুবুল হাসানকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ ফরহাদ ও সাঈদ হাসান পাপ্পুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে খালপাড় শাহী ঈদগাহ কবরস্থানে মাহবুবুল হাসানের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
হত্যা মামলা দায়ের পর থেকে প্রধান আসামি মেম্বার আতাউর ভূঁইয়া ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, নিহতের ভাই হাফিজুল্লাহ বাদী হয়ে ২২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অভ্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন