জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক সামছুল হত্যা মামলায় ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। এ মামলায় দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী (এপিপি) গকুল চন্দ্র মণ্ডল। রায় ঘোষণার পর আসামিদের জয়পুরহাট কারাগারে নেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজ উদ্দিনের পুত্র ছবদুল হোসেন (৭২), ছবদুল হোসেনের ৪ পুত্র হেলাল ওরফে হেলু (৪৮), ইদ্রিস আলী (৪৪), রেজাউল হোসেন (৪১), আলম হোসেন (৩৮), ছবদুলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬৭), আলম হোসেনর স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩৬), হেলালের স্ত্রী লিলিফা বেগম (৪৪), আমেজ উদ্দিনের পুত্র হেলাল উদ্দিন (৬২), আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দ্রীপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফূর্তি বেগম (৪৬)।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মহব্বতপুর গ্রামের সাম আলম, কবলা দলিল মূলে এক খণ্ড জমি কিনেন চাচা ছবদুলের কাছ থেকে। ভোগদখলে থাকা সেই জমিতে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর আলু রোপণ করাকালে আসামিরা কোদাল, হাঁসুয়া, লোহার রড, দা নিয়ে সামছুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সামছুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওযায় তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে থাকাবস্থায় ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে ৮২ দিন পর রাতে সামছুল ইসলাম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সামছুল ইসলামের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ১২ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ক্ষেতলাল থানার এসআই নজরুল ইসলাম। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বিচার কাজ শেষে আদালতের বিচারক ১০ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।
মন্তব্য করুন