কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আলমগীর হোসেন নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে (১৫) চুরির অভিযোগে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার পাশাপাশি মারধর করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত রোববারের (২ জুন) এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল চুরির অভিযোগে আটকে রেখে আলমগীর হোসেনকে রোববার সন্ধ্যার পর থেকে দফায় দফায় নির্যাতন করেন স্থানীয় কতিপয় যুবক। নির্যাতন শেষে তাকে বেওয়ারিশ দেখিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে গোপনে ভর্তি করে চলে আসে তারা। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ভাজনকরা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর নানা বাড়িতেই বড় হয়েছে সে।
ঘটনাটি ঘটেছে একই ইউনিয়নের ভাজনকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। লোক মারফত সংবাদ পেয়ে সোমবার (৩ জুন) সকালে ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন।
চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগীর নানা আব্দুল কুদ্দুস পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত রাহুল জানান, আমার সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা নেই। তার বিরুদ্ধে এলাকার অনেকেই চুরির অভিযোগের কথা বলতে শোনা গেছে। তাকে ধরে এলাকার সবাই স্বীকারোক্তি নেওয়ার জন্য মারধর করেছে। এ ঘটনায় শুধু আমি না এলাকার অনেকেই ছিল।
এ ব্যাপারে আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান মাইনউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, নির্যাতিত কিশোরকে নিয়ে তার নানা ও পরিবারের লোকজন আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের ছেলেটির চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বলেছি। এ ব্যাপারে আইনি সহায়তা গ্রহণের জন্য তাদের পরামর্শ দিয়েছি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরকে নির্যাতনের বিষয়ে তার নানা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন