‘রাতের অন্ধকারে তোমরা এমপি হয়েছ, আমরাই তো তোমাদের তৈরি করেছি। এমপি হয়েছ, মুরব্বিদের সম্মান করে চলো, তা না হলে সমস্যা হবে, তখন কিছু বলতে পারবা না।’
কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে দেওয়া এমন বক্তব্য জেলাজুড়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। এমনকী ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ওই শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের এই নেতাই নয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জকে উদ্দেশ্য করে আক্রমনাত্মক বক্তব্য দেন। এ সময় ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনাও করেন তারা।
আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগে 'স্লিপ অব টাং' রোগ
এর আগে গত ১৭ জুলাই খোকসা উপজেলার বিলজানি বাজারে শান্তি সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জকে উদ্দেশ্যে করে আক্রমনাত্মক বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক আসগর আলীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ওই সমাবেশের তিন দিন পর খোকসা বাসস্ট্যান্ডে শান্তি সমাবেশ করে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে বিএনপি জামায়াতের বিশৃঙ্খল আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি বিলজানি বাজারের সমাবেশে এমপি জর্জ নিজেকে নিয়ে আওয়ামী নেতাদের বিরূপ মন্তব্যের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
তিনি ওই বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আপনারা সিনিয়র নেতা। আপনারা আমাদের অভিভাবক। কিন্তু যা কিছু বলছেন, শিষ্টাচারের মধ্যে থেকে বক্তব্য দিবেন। আপনারা বয়স্ক, মুরব্বি মানুষ। আমি কোনো আজেবাজে কথা বলতে চাই না। অনেক কিছুই বলার আছে। সেগুলো তুলে রাখলাম। একদিন সেই জবাব আপনারা পাবেন। যদি আপনাদের এমন আচরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে এর সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’
এদিকে কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের নামে একের পর এক কাদা ছোঁড়াছুড়িতে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি। জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি দলের জন্য খুব একটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলে মনে করেন তৃণমূল আওয়ামী নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন