এক কেজি আমের দাম ৩ লাখ টাকা। শুনতে অবাক লাগছে? বলা হয়ে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম এটি। যার স্বাদ সাধারণ আমের চেয়ে ১৫ ভাগ বেশি। দক্ষিণ জাপানের কিয়োশু অঞ্চলের মিয়াজাকি নামক স্থানে এ আমের চাষ হয়। তাই এই জাতের আমের নামও মিয়াজাকি। অনেকে ‘সূর্যের ডিম’ বলেও ডাকে এটিকে। আমটি ৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত বড় হয়।
জাপানে জন্ম হলেও এই আম এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশেও। আমটি সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ এর মূল্য। দামের বিচারে সবচেয়ে মূল্যবান আম এটি। যা চাষ করে ব্যাপক সফলতাও পাচ্ছেন অনেকেই। এক আমের দাম কীভাবে এত টাকা হয়, সে প্রশ্নই সাধারণ মানুষদের।
ওজন অনুসারে এই জাতের এক পিস আমের দাম প্রায় ২১ হাজার টাকা। তবে কেজি দরে নিলে আরও বেশি দাম দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়াজাকি আম কেজিপ্রতি বাংলাদেশি মুদ্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বেতকা মামুদাদপুর এলাকার মো. রকিব শেখের বাগানে চাষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই মিয়াজাকি আমের। তবে তিনি প্রবাসে থাকায় বাগান দেখাশোনা করেন তার বাবা আব্দুল লতিফ শেখ। অনেকটা শখের বসেই আমবাগান করেন তারা। মিয়াজাকি ছাড়াও ৭০০টিরও বেশি গাছ আছে রকিবের বাগানে।
প্রবাসী রকিব শেখের বাবা আব্দুর লতিফ শেখ বলেন, চলতি বছর এ আমের ফলন মোটামুটি ভালো। খেতেও খুব স্বাদ, দেখতেও অনেক সুন্দর।
রকিব শেখের চাচা মোশারফ হোসেন শেখ বলেন, মিয়াজাকি আমের দাম সবচেয়ে বেশি। এর চাহিদা খুব বেশি। সবাই প্রশংসা করে।
বাগান পরিচর্যাকারীরা বলছেন, গতবারের চেয়ে এবার গাছে মিয়াজাকি আম বেশি ধরেছে। এ ছাড়াও চিয়াংমাই, আমেরিকান রেড পালমাল, কিউজাই, কিং চাকাপাত, ব্রুনাই কিং, বানানা মেঙ্গোসহ ২৩ প্রজাতির বিদেশি ও দেশীয় নানা জাতের আমগাছ রয়েছে এ বাগানে।
রকিব শেখের বাগানের মিয়াজাকি আম বেশ সাড়া ফেলেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আবদিন তালুকদার।
বাগানটির লাল রঙের আমের সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে মানুষদের। যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকেই। অনেকে আমবাগান দেখতে এসে খাচ্ছেন এবং কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববাজারে মিয়াজাকি আমের দাম ৩ লাখ টাকা কেজি হলেও রকিবের বাগানে তা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭০০ টাকায়।
মন্তব্য করুন