গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০১:৫৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জন্মের ২৪ বছর পর বাবাকে প্রথম দেখলেন মিলন, তবে মৃত অবস্থায়

জন্মের ২৪ বছর পর প্রথমবার বাবাকে দেখলেন মিলন। তবে মৃত অবস্থায়। ছবি : কালবেলা
জন্মের ২৪ বছর পর প্রথমবার বাবাকে দেখলেন মিলন। তবে মৃত অবস্থায়। ছবি : কালবেলা

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামের সিকান্দার ঘরামীর একমাত্র সন্তান মো. মিলন। জন্মের পর কখনো দেখেনি বাবা সিকান্দার ঘরামীকে। জন্মের ২৪ বছর পার হলেও একদিনও বাবাকে দেখেনি তিনি। বাবাকে শেষবারের মত হাসপাতালের বেডে মৃত অবস্থায় দেখবে সেটিও কখনো কল্পনা করেননি মিলন।

দীর্ঘ ২৪ বছর পর খুঁজে পেয়েছেন বাবাকে, তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিকান্দার ঘরামীর মৃত্যুর পর খোঁজ মেলে সিকান্দার ঘরামীর পরিবারের।

জানা গেছে, বুধবার (২৬ জুন) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিকান্দার। স্বজনহীন এ মানুষটির লাশ দাফন নিয়ে ঝামেলায় পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে দেখতে পান অসুস্থজনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয় আজিজুল হক পার্থ নামে এক সংবাদকর্মী।

সংবাদকর্মী আজিজুল হক পার্থ বলেন, ২৪ বছর আগে থেকে সিকান্দার আলী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, চাঁদপুরের মতলব, কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার বিভিন্ন মাজারে ঘুরে ঘুরে জীবনযাপন করেছেন। একাধিক মানুষ উনাকে চিনেন এ অঞ্চলের মানুষ হিসেবে। কিন্তু তার স্বজনদের বিষয়ে কেউ কিছু জানে না।

বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়ার বউ মস্তানের মাজার, পুরান বাউশিয়ার সোলায়মান লেংটার দরবার, নয়াকান্দীর এক পাগলের মাজার ও সর্বশেষ গত কয়েকমাস বড় রায়পাড়ার শামছু পাগলার দরবারে ভবঘুরে জীবনযাপন করছিলেন। গত ১০/১২ দিন আগে অসুস্থ পড়লে স্বজনহীন মানুষটার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাই। ভর্তি করার সময় তিনি নিজেই রেজিস্ট্রার খাতায় নিজের নাম, ঠিকানা বলে যান। আমি লোকটার ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু সেভাবে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তার মৃত্যুর পর গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খাঁনের আন্তরিক চেষ্টায় তার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়। পরে রাত ৯টায় সিকান্দার ঘরামীর একমাত্র ছেলে হাসপাতালে আসে। জন্মের পর বাবাকে চোখে দেখে নাই, বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটাই জানা ছিল না তার।

মৃত বাবাকে পেয়ে মো. মিলন ঘরামী বলেন, বুঝ হওয়ার পর থেকে বাবাকে খুঁজে ফিরেছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবাকে পেলাম। মৃত বাবার মুখখানি দেখলাম, স্বাত্বনা তো রইল। বাবাকে নিজ হাতে দাফন করতে পারলাম।

গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খাঁন বলেন, ঘটনাটা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। আর আমি আমার দ্বায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিভিশনাল ম্যানেজার পদে চাকরি দিচ্ছে মিনিস্টার

মেঘনা গ্রুপে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১০ কিলোমিটার হেঁটে মাঠে যাওয়া রিয়ানের পাশে ডিসি

০৭ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ দিচ্ছে আকিজ মটরস

কম দামে দুধ বিক্রি করে আলোচনায় খামারি জামান

সচল নেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থাপিত ৭০০ সিসি ক্যামেরার একটিও

বিতর্কের মধ্যেই এবার ধলাই বিল ইজারা

জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের অনশন ভাঙালেন বিভাগীয় কমিশনার

১০

আ.লীগ নেতা ছাইফ গ্রেপ্তার

১১

জাতিসংঘ ফেলোশিপে ১০ নারীর মধ্যে স্থান পেলেন বাকৃবির মারজানা

১২

জিয়া পরিবারকে সবচেয়ে নির্যাতন করেছে আওয়ামী সরকার : কবির ভূইয়া

১৩

মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আমিনুল হক

১৪

এবার এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে

১৫

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়ে মির্জা গালিবের পোস্ট

১৬

মায়ামিতে হতে যাচ্ছে লা লিগার ম্যাচ!

১৭

বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে : চরমোনাই পীর

১৮

আওয়ামী সংশ্লিষ্টতা বিতর্কে বিসিবি থেকে বাদ ইসফাক আহসান

১৯

সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

২০
X