কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেতা সিদ্দিক

জুলাই আন্দোলনে ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছবি : কালবেলা
জুলাই আন্দোলনে ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছবি : কালবেলা

আলোচিত নাট্য অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে পিছমোড়া করে বেঁধে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। এরপর জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার গুলশানে ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

এদিন দুপুরে কারাগার থেকে সিদ্দিকুর রহমানকে আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়। এরপর দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে তাকে হাজতখানা থেকে বের করে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাকে পেছনে হাত রেখে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে এজলাসে তুলতে দেখা যায়। পরে এজলাসে তুলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সামিউল ইসলাম গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির দিন বুধবার ধার্য করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে গ্রেপ্তার দেখানোর জোর দাবি জানান। পরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। আদেশ শুনে সিদ্দিক হাসতে থাকেন।

এরপর তাকে ফের হাজতখানায় পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, নাট্য অভিনেতা থেকে পিছমোড়া করে কারাগারে। আপনার কিছু বলার আছে কি না। এ সময় তিনি কোনো উত্তর দেননি। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, তার রাজনৈতিক খায়েশ ছিল। এজন্য জুলাই আন্দোলনে তিনি মদদ দিয়েছেন। অংশগ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী। জুমার নামাজের পর আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা মো. সবুজ ২ জুলাই গুলশান থানায় মামলা করেন।

গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করে। মারধর করে রমনা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে রমনা মডেল থানা পুলিশ। পরদিন তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৭ মে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাঁচ দিন সাগরে ভেসে জীবিত ফিরলেন মোরশেদ

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে থাকছে নারী আম্পায়ার

মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু

বিএনপি কর্মীদের নিয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিলেন জয়

খাঁচায় বন্দি রেখে পাখি পালন করা কি জায়েজ আছে?

সাবেক স্ত্রীকে হত্যার পর যুবকের কাণ্ড

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

নদীতে ভাসছিল নিখোঁজ চালকের মরদেহ, উধাও অটো

টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন মোবাইল থেকে যেভাবে করবেন

দুদকের দুই উপ-পরিচালক বরখাস্ত

১০

দলের স্বার্থে খেলে কপাল পুড়ল দুই ক্রিকেটারের, দাবি অশ্বিনের

১১

মহাখালীর সাত তলা বস্তিতে ভয়াবহ আগুন 

১২

আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টা হাতি মরে গেছে : রিজওয়ানা

১৩

প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১৪

ঢাবির ১৮ হল সংসদের প্রার্থী ঘোষণা ছাত্রদলের

১৫

স্টার্টআপে বিনিয়োগ ও পরামর্শ দেবে কমিউনিটি ব্যাংক

১৬

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১৭

কুমিল্লায় ৫২টি পাসপোর্টসহ দালাল আটক

১৮

টাকা ছাড়াই খাওয়া যায় যে ক্যাফেতে, দিতে হবে প্লাস্টিক বর্জ্য

১৯

বঞ্চিত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন পেশ

২০
X