ঢাকার গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বরিশালের মুলাদী পৌরসভার সাবেক মেয়র শফিকুল জামান রুবেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ আক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে গুলশান থেকে শফিকুল জামান রুবেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মোজাম্মেল হক মামুন।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মামলার সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি প্রকাশ করে। আসামিদের জবানবন্দি এবং স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, শফিকুল জামান রুবেল এ মামলার ঘটনার মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশ বিরোধী প্রচারনায় অংশগ্রহন করে। এ আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
এতে বলা হয়, শফিকুল জামান রুবেল ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও আসামির ঘনিষ্ঠ লোকজন যারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। শফিকুল জামান রুবেল সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এদিন শফিকুল জামান রুবেলের পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ খান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
মামলার বিবরণী থেকে, গত ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১ এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০ থেকে ৩৫ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা দেশবিরোধী স্লোগান দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ গুলশান থানায় মামলা করে।
মন্তব্য করুন