জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, মামলার তদন্তকালে গোপন সূত্রে জানা যায় বিএম মোজাম্মেল হক সাবেক এমপি শরিয়তপুর-১ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ আসামি মামলার ঘটনার দিন ৫ আগস্ট আদাবর থানা এলাকায় সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ওইদিন সহিংসতায় গার্মেন্টস কর্মী রুবেলের মৃত্যুর ঘটনায় এ আসামি জড়িত ছিলেন মর্মে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। তাকে রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় মোজাম্মেল হকের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মূল নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হকের আইনজীবী লিটন মিয়া।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা বেলা ১১টার দিকে আদাবরের রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন