কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ জানুয়ারি

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।

ড. ইউনূস ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮তম বোর্ডের সভায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় একটা ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। তবে হিসাব খোলার এ সিদ্ধান্তের একদিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এ ছাড়া ৮ মে খোলা ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এ রকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকমের বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটিতে ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করে। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে : চসিক মেয়র

কৃষক দল সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সতর্কবার্তা / ‘সাংবাদিকরা চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকারে ডুবে যাবে’

অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ : পুলিশ সুপার

বগুড়ায় সাহিত্য উৎসব শুক্রবার, অংশ নিবে দুই শতাধিক কবি

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধে নতুন নির্দেশনা

জুলাই শহীদদের স্মরণে জবিতে গ্রিন ভয়েসের বৃক্ষরোপণ ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

মার্কিন বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানে রুশ হামলা

মালয়েশিয়ার পর চীন সফরে যাবেন নাহিদ

৩১ দফাই হচ্ছে আমাদের জাতীয় সনদ : সুব্রত চৌধুরী

১০

টিসিবির নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকচাপায় বৃদ্ধ নিহত

১১

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর বাতিল

১২

জেলেনস্কির টার্গেট তুরস্ক, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড

১৩

শিক্ষকের ওপর হামলা, ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ

১৪

‘আপনাকে গভীরভাবে অনুভব করি প্রতি পদে পদে’

১৫

এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে প্রচার, শিক্ষা বোর্ডের বক্তব্য

১৬

হাসারাঙ্গাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কা দল ঘোষণা

১৭

ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের টাকা নিয়ে উধাও সমাজসেবা কর্মকর্তা

১৮

সিলেটে সাদাপাথর লুট / গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বিমত

১৯

আমাদের আদর্শগত শত্রু বিজেপি, বললেন থালাপতি বিজয়

২০
X