সমর্থকের তালিকায় মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর, দৈত নাগরিকত্ব, কর ফাঁকি ও তথ্য গোপনসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাতিল হওয়া মৌলভীবাজার-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল রহিম শহীদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আর সুযোগ নেই। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ তার রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আর সুযোগ থাকল না।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম এনায়েত রহিম এ আদেশ দেন। এর মাধ্যমে মৌলভীবাজার-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ রহিম শহিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকল না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমএ রহিম শহীদ গতকাল হাইকোর্টে দ্বিতীয়বার রিট (আবেদন নম্বর ১৬৭০৪) দায়ের করেছিলেন। তবে দ্বিতীয়বারও নির্বাচন কমিশনের (ইসির) মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) একই ঘটনায় অপর একটি রিটে (আবেদন নম্বর ১৬৫৪৫) বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ইসির মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিলেন। গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মৌলভীবাজারের চারটি আসনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের ব্রিফিংয়ে আব্দুর রহিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ওইদিন সকালে মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় দেখা যায়, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহীদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। তবে সেখানে তার সমর্থনকারী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাশিমপুর এলাকার ভোটার বশির মিয়া ১১ মাস আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ব্যক্তি কীভাবে স্বাক্ষর করলেন- এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেখানে থাকা আইনজীবী ও অন্য দলের প্রতিনিধিরা।
এ ছাড়া সমর্থনকারী জেলি বেগমের ভোটার ঠিকানায় এ নামে কোনো ভোটার পাওয়া যায়নি। সমর্থনকারী বাছিত মিয়া তিনি নিজ এলাকায় অবস্থান করেন না, তিনি ঢাকার বাসিন্দা। এদিকে তিনি দ্বৈত নাগরিক বলে অভিযোগ করেন অনেকে। তাই বাতিল হয়ে যায় মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহীদের মনোনয়নপত্র। পরে ইসিতে আপিল তিনি। পরে তার আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে দুই দফায় রিট দায়ের করেও প্রার্থিতা পেলেন না তিনি। এখন চেম্বার আদালতেও তার রিট আবেদন খারিজ হয়।
মন্তব্য করুন