রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পরিবার কল্যাণের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত

হাইকোর্ট ভবন। পুরোনো ছবি
হাইকোর্ট ভবন। পুরোনো ছবি

ইউনিয়ন পরিষদে মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা’ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা’ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা পরিপত্র কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তির তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তর পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে ১১ মে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৫মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে গত ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।

রিটের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার আগে থেকে সারাদেশে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ২ হাজার ৬৭৬টি পদ শূন্য ছিল। এর মধ্যে ২০২০ সালে সরকার ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সাড়ে তিন বছর পর এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়। মৌখিক পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ না করে অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে, ইতোমধ্যে মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকার ১৫ কোটি টাকার মতো ব্যয় করেছে। আবার লিখিত পরীক্ষা হলে আবারও ব্যয় হবে। আর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়োগ পেতে পেতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে নিয়োগ প্রত্যাশীদের। ফলে সংক্ষুব্ধ নিয়োগ প্রত্যাশীদের পরীক্ষা বাতিলের পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মানুষের কাছে জাগপার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে : রাশেদ প্রধান 

গাজীপুরে রাতের আঁধারে সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ

তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর গুঞ্জন

আ. লীগের সহসম্পাদক ব্যারিস্টার হাবিব গ্রেপ্তার

এক টাকারও অভিযোগ দিতে পারলে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিব : সারজিস

ঢাকা মহানগর আদালতে পরিচ্ছনতা অভিযান

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারীসহ ফার্মাসিস্ট আটক

৮ দিন পর খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারকে ডেকে নিয়ে মারধর

মাউন্ট-সেশকোর গোলে ম্যানইউর স্বস্তির জয়

১০

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিবু প্রসাদ গ্রেপ্তার

১১

‘শহিদুল আলম ও গাজার পাশে আছি-থাকব’

১২

রেবতী মহাজন বাড়ির বিজয়া সম্মিলনী

১৩

জামায়াত ধর্মের জন্য ক্ষতিকর : আমিনুল হক

১৪

এভারেস্ট বেজ ক‍্যাম্প সামিট ৮ বাংলাদেশির

১৫

তারেক রহমানের ৩১ দফায় দেশের উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা : আবু বকর সিদ্দিক

১৬

মানবাধিকার কর্মীদের আটকের ঘটনা কলঙ্কজনক অধ্যায় : মুহিউদ্দীন রাব্বানী

১৭

শিয়ালের কামড়ে মেম্বারসহ আহত ১১

১৮

কাশফুলের গালিচায় মোড়া বরিশালের বিসিক

১৯

উপ-সহকারীর ভরসায় চলছে ২০ শয্যার হাসপাতাল

২০
X