ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় দুই মূলহোতার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-মানিক গাজী ও আল আমিন।
এর আগে গতকাল বুধবার এ মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক নুর উদ্দিন আসামি সানোয়ার ও বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া জামিন নামঞ্জুর করে অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, 'গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকার সহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় আশরাফুল হোসেন আলম প্রতিনিধিগণ বিকেল সাড়ে ৩ টায় বনানী থানাধীন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনের জন্য যাই। অতঃপর প্রার্থ আশরাফুল হোসেন আলমসহ ৫/৬ জন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরণের গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হতে অজ্ঞাতনামা একজন হিরো আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং অপর একজন তার তলপেটে লাথি মারলে সে রাস্তায় পড়ে যান। তখন তাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানা হেঁচড়া করে।'
মন্তব্য করুন