পূর্বঘোষিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী আজ রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে প্রথম ধাপের অনলাইন ভর্তি আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সার্ভার জটিলতার কারণে সেই আবেদন যথাসময়ে শুরু করা যায়নি।
তবে পূর্বঘোষিত সময়ের প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১১টার দিকে সার্ভার জটিলতা কেটে যায়। এরপর অনলাইনে ঢুকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারছেন।
রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সার্ভার জটিলতায় আমরা নির্ধারিত সময়ে আবেদন শুরু করতে পারিনি। রাত ৮টার দিকে জটিলতা কাটিয়ে আবেদন শুরু করতে চেয়েছিলাম। সেটাও সম্ভব হয়নি। তবে এখন সার্ভার স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা চাইলে এখন আবেদন করতে পারবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডগুলোর প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী- রোববার সকাল ৮টা থেকে একাদশে ভর্তির আবেদন শুরুর কথা ছিল। সকালে প্রথমদিকে সার্ভারে প্রবেশ করা গেলেও শিক্ষার্থীরা লগইন করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারছিলেন না। এরপর তা নিয়ে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কারিগরি টিম। তবে সকাল ৯টা থেকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দেয়। কোনোভাবেই সার্ভারে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারছিলেন না শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, সার্ভার জটিলতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একের পর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, সন্ধ্যা ৬টা থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
পুনরায় ঘোষিত সেই সময় (সন্ধ্যা ৬টা) পার হলেও কেউ আবেদন করতে পারছিলেন না। এ নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান রাত সাড়ে ৭টায় আবারও নতুন সময়ের কথা জানান। তখন তিনি বলেন, রাত ৮টা থেকে আশা করছি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
তবে রাত ৮টায়ও নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীরা ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান অনেকে। অবশেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে সার্ভার স্বাভাবিক হয়।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী—একাদশ শ্রেণিতে এবারও তিন ধাপে আবেদন, ফল প্রকাশ এবং মাইগ্রেশনের পর চূড়ান্ত ভর্তি নেওয়া হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৫-২৫ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন। এরপর ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
মন্তব্য করুন