

বিশ্বকাপের আর মাত্র কয়েক মাস বাকী। তার আগেই নিজেদের ছন্দ, সমন্বয় আর মানসিক দৃঢ়তা যাচাই করে নিতে জোর প্রস্তুতিতে ব্রাজিল। শনিবার লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে সেনেগালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ—কাগজে কলমে ‘ফ্রেন্ডলি’, কিন্তু বাস্তবে বিশ্বকাপ ভাবনার বড় পরীক্ষাগুলোর একটি।
আর এ ম্যাচেই কার্লো আনচেলত্তি যে পরিবর্তন আনছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে রক্ষণে যে পরিবর্তন আসছে তা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বাড়তি কৌতূহল।
জাপানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ ভেঙে পড়া রক্ষণ আনচেলত্তিকে তাড়াহুড়ো করে ভাবতে বাধ্য করেছে। তারই প্রভাবে ব্রাজিল ফিরছে পরিচিত ব্যাক-ফোরে। লন্ডনে অনুশীলনে দেখা গেছে—মিলিতাঁও রাইটব্যাক, মারকুইনিয়োস ও গ্যাব্রিয়েল মাগালেয়াস সেন্টার–ব্যাক, অ্যালেক্স সান্দ্রো লেফট ব্যাক।
রক্ষণে এই রদবদল ছাড়া মাঝমাঠে কোনো চমক নেই। নিজেদের মতোই থাকছেন কাসেমিরো ও ব্রুনো গিমারায়েস। আর আক্রমণভাগে আনচেলত্তি ধরে রেখেছেন সেই পরীক্ষিতই চতুষ্টয়—রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস, মাতেউস কুনিয়া ও এস্তেভাঁও।
এদের হাত ধরে সিওলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫–০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল ব্রাজিল, তাই আক্রমণে কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না কোচ।
ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ
এডারসন; মিলিতাও, মারকুইনিয়োস, গ্যাব্রিয়েল মাগালেয়াস, অ্যালেক্স সান্দ্রো; কাসেমিরো, ব্রুনো গিমারায়েস; রদ্রিগো, ভিনি জুনিয়র, মাতেউস কুনিয়া, এস্তেভাঁও।
এদিকে সেনেগালের বিপক্ষে ইতিহাসও ব্রাজিলের মাথাব্যথার কারণ। দুই দলের তিন দেখা—একবারও জিততে পারেনি সেলেসাও। ২০১৯ সালে ছিল ১–১ ড্র, আর ২০২৩ সালে রামন মেনেজেসের অধীনে ৪–২ গোলে হারে ব্রাজিল। এ ম্যাচ তাই প্রতিশোধেরও সুযোগ।
আনচেলত্তির অধীনে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে তিন জয়, এক ড্র, দুই হার—বিশ্বকাপ ভাবনায় আরও শক্ত ভিত গড়তে জয়ের বিকল্প নেই।
মন্তব্য করুন